বাঘারপাড়া যশোর প্রতিনিধি
‘খাজুরা বাজারের প্রাণকেন্দ্রে পানি-কাদা, জনজীবনে দুর্ভোগ।’ শীর্ষক শিরোনামে গ্রামের কাগজ পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের পর রাস্তার ওই অংশ সংস্কার করে দিয়েছেন সৌদি প্রবাসী মোজ্জামেল হোসেন।
তিনি কর্তৃপক্ষের অনুমতি কোন ছাড়াই যশোরের খাজুরা বাজারে সরকারি পাকা রাস্তা কেটে বাড়ির পয়ঃনিষ্কাশন পাইপ বসিয়েছেন বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর। কাজ শেষে ইটের খোয়ার ঢালাই দিয়ে রাস্তার ওই স্থান করে দেওয়া হয়। তবে সেখানে বৃষ্টির পানি জমে ইটের খোয়া উঠে পানি-কাদার সৃষ্টি হয়। এতে শিক্ষার্থী, যানবাহনের চালক ও পথচারীসহ সাধারণ মানুষজন চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছিল।
গত ২৩ সেপ্টেম্বর এ বিষয়ে দৈনিক গ্রামের কাগজে সংবাদ প্রকাশিত হলে ২৫ সেপ্টেম্বর রাতে রাস্তার জরাজীর্ণ অংশটি সংস্কার করে দিয়েছেন অভিযুক্ত প্রবাসী মোজাম্মেল হোসেন। দীর্ঘদিনের দুর্ভোগ লাঘব হওয়ায় গ্রামের কাগজ ও ওই প্রবাসীর প্রতি সন্তোষ প্রকাশ করেছে এলাকাবাসী।
তবে বাজারের পুরাতন পুলিশ ক্যাম্প চৌরাস্তা মোড়ে সওজ’র রাস্তা থেকে এলজিইডি’র রাস্তা বেশ নিচু। দ্রুত গতি আর ভারি যান চলাচল করায় মূলত এলজিইডি’র রাস্তার ওই অংশ বারবার ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। এর আগেও তিন তিনবার ব্যক্তি অর্থায়নে সেখানে সংস্কার কাজ করেছেন বলে দাবি করেন সৌদি প্রবাসী মোজাম্মেল হোসেন।
তিনি বলেন, ‘আমি কোন রাস্তা কাটিনি। মেশিনের সাহায্যে রাস্তার নিচ দিয়ে পাইপলাইন বসিয়েছি। বাজারের মথুরাপুর রোডে কোন ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় ব্যক্তি অর্থায়নে প্রায় তিন’লাখ টাকা ব্যয়ে কাজটি করেছি। আমি এলাকায় ধর্মীয় ও সামাজিক বিভিন্ন কর্মকান্ডে সব সময় সহযোগিতা করে থাকি। জনস্বার্থে পাইপলাইন বসালেও একটি কুচক্রী মহল হেয়প্রতিপন্ন করতে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা দিয়েছে। যা খুবই দুঃখজনক।’