বন্দর প্রতিনিধি : নারায়নগঞ্জ সিটি কর্পেরেশনের নির্বাচনের আর মাত্র ১ মাস ৯ দিন বাকি। আসন্ন সিটি কর্পোরেশনের র্নিবাচনকে সামনে রেখে বন্দরে পালিয়ে থাকা সন্ত্রাসীরা আবারও স্ব স্ব এলাকায় ফিরে আসতে শুরু করেছে বলে খবর পাওয়া গেছে । এমন কথা জানিয়েছে বন্দরে সচেতন মহল। তারা আরো জানিয়েছে, নির্বাচনের সময় যতই ঘনিয়ে আসছে র্যাব ও পুলিশের তালিকা ভূক্ত সন্ত্রাসী ও কিশোর গ্যাং এ উৎপাত আংশকা জনক ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। সন্ত্রাসীরা নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের বিভিন্ন ওয়র্ডে প্রভাব বিস্তারসহ শক্তি বৃদ্ধির জন্য বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাদের সর্মথন নিয়ে গোটা এলাকা দাবড়িয়ে বেড়চ্ছো। স্থানীয় সন্ত্রাসী ও স্ব স্ব এলকার কিশোর অপরাধীরা বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের ছত্রছাঁয়ায় আসন্ন সিটি কর্পোরেশনের ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী বাহিনী হিসেবে মাঠে কাজ করবে বলে বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে।
এর ধারাবাহিকতায় গত ১ সাপ্তাহে বন্দরের মদনগঞ্জ, সোনাকান্দা, শাহীমসজিদ, সালেহনগর, একরামপুর, স্বল্পের চক, নবীগঞ্জ, কাইতাখালি, বক্তারকান্দী, দেঊলী, আমিরাবাদ, চৌরাপাড়া, দক্ষিন লক্ষনখোলা, উত্তর লক্ষনখোলা, কুড়িপাড়াসহ তার আশে পাশের এলাকা গুলোতে পালিয়ে থাকা সন্ত্রাসী থেকে শুরু করে ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসীদের আনাগনা ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। পালিয়ে থাকা সন্ত্রাসীরা এলাকায় এসে উল্ল্যেখিত ছিচকে সন্ত্রাসীদের সুসংগঠিত করছে। সন্ত্রাসীরা এলাকায় ফিরে আসায় এলাকাবাসীর মধ্যে চরম আতংক বিরাজ করছে। এ ছাড়াও বন্দরে পালিয়ে থাকা জামায়াত শিবির তৎপরতা বিভিন্ন এলাকায় ব্যাপক ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। পালিয়ে থাকা সন্ত্রাসীদের আগমনে বন্দরের সচেতন মহল চরম অস্বস্থিতে রয়েছে। এছাড়াও বন্দর উপজেলার ৫টি ইউনিয়নের বিভিন্ন পাড়া মহল্লায় বহিরাগত ভাড়াটিয়ার সংখ্যা ব্যাপক ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।
এ ব্যাপারে বন্দর থানার অফিসার ইনর্চজ দীপক চন্দ্র সাহা গনমাধ্যমকে জানান, সদ্য অনুষ্ঠিতব্য বন্দরে ৫টি ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন অবাধ নিরপেক্ষ হয়েছে। আমর কাউকে ছাড় দেইনি। কাউকে কোন সিল মরতে দেওয়া হয়নি। সিটি নির্বাচনে কোন সন্ত্রাসী অরাজগতা করে পার পাবেনা। তাদেরকে কঠর ভাবে দমন করা হবে। আমরা বন্দর থানার গুরুত্বপূর্ন এলাকাগুলোতে নজরধারী বৃদ্ধি করেছি। অচিরেই সন্ত্রাসীদের দমন করাসহ অস্ত্র উদ্ধারের জন্য বন্দরে বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করা হবে। আসন্ন নারায়নগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের র্নিবাচনের পূর্ব বন্দরে ফিরে আসা তালিক ভূক্ত সন্ত্রাসীদের দ্রুত গ্রেপ্তারসহ অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করে নির্বাচনের সুন্দর পরিবেশ সৃষ্টির জন্য বন্দরের সচেতন মহল জেলা পুলিশ সুপার ও বন্দর থানর অফিসার ইনর্চাজের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছে।