বন্দরে জ্বালানি তেল ডেলিভারি দেওয়ার সময় লরি চালকের কাছে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবির ঘটনায় ৩ চাঁদাবাজকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-১১ । ওই সময় র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে কৌশলে পালিয়ে গেছে কমল নামে আরো এক চাঁদাবাজ। গত বৃহস্পতিবার (২১ জুলাই) বেলা সাড়ে ১১টায় বন্দর থানার ২৩ নং ওয়ার্ডস্থ একরামপুর আকিজ সিমেন্ট ফ্যাক্টরী গেইটের সামনে থেকে ওই চাঁদাবাজদের গ্রেপ্তার করা হয়।
এ ব্যাপারে ভ’ক্তভোগী লরি চালক মামুন মিয়া বাদী হয়ে ঘটনার ওই দিন রাতে গ্রেপ্তারকৃত ৩ চাঁদাবাজসহ ৪ জনকে আসামী করে বন্দর থানায় এ মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং- ৪২(৭)২২। গ্রেপ্তারকৃত চাঁদাবাজরা হলো বন্দর থানার রসুলবাগ মৃত নওয়াব মিয়ার ছেলে চাঁদাবাজ সালাউদ্দিন (৪৬) একই থানার একরামপুর এলাকার আক্তার হোসেন মিয়ার ছেলে মুক্তার হোসেন (৪০) ও একই এলাকার মৃত মতি মিয়ার ছেলে সোহেল রানা (৪৩)। পলাতক আসামী কমল একরামপুর এলাকার মৃত জজ মিয়ার ছেলে বলে জানা গেছে। পুলিশ গ্রেপ্তারকৃত ৩ চাঁদাবাজকে ওই মামলায় শুক্রবার সকালে ৭ দিনের পুলিশ রিমান্ডের আবেদন জানিয়ে আদালতে প্রেরণ করেছে।
তথ্য সূত্রে জানা গেছে, সিদ্ধিরগঞ্জ শিমুলপাড়া এলাকার আকবর আলী মিয়ার ছেলে র্দীঘ দিন ধরে ট্যাংকার লরি চালিয়ে জীবন যাপন করে আসছে। এর ধারাবাহিকতায় গত বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় লরি চালক মামুন সিদ্ধিরগঞ্জ এসও এলাকা থেকে পিরোজপুর ড ৪১-০০৮৯ নাম্বারে লরিতে জ্বালানি তেল লোড করে প্রতিদিনের ন্যায় বন্দর একরামপুরস্থ আকিজ সিমেন্ট ফ্যাক্টরীতে আসে। ওই সময় চাঁদাবাজ সালাউদ্দিন, মুক্তার হোসেন ও সোহেল রানা এবং কমলসহ অজ্ঞাতনামা ৫/৭ জন চাঁদাবাজ লরি চালক মামুনের নিকট ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে। ওই সময় লরি চালক চাঁদা দিতে অপরগতা প্রকাশ করলে উল্রেখিত চাঁদাবাজরা ক্ষিপ্ত হয়ে লরিতে গুরুতর আঘাত করে ক্ষয়ক্ষতি ভয়ভিত্তি প্রর্দশন করে। ওই সময় আকিজ সিমেন্ট এলাকায় র্যাব-১১ সিপিএসসি টহলদলের উপস্থিতি টের পেয়ে উল্লেখিত চাঁদাবাজরা পালিয়ে যাওয়া চেষ্টাকালে র্যাব- ১১ তিন চাঁদাবাজকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হলেও কমল নামে আরো এক চাঁদাবাজ কৌশলে পালিয়ে যায়।