“আসাদুজ্জামান চৌধুরী “
বিকাশ থাকতে ক্যাশ ক্যান “? সম্প্রতি বিকাশের একটি বিজ্ঞাপন ব্যপক জনপ্রিয়তা পায়। এবং বিজ্ঞাপনটিতে হন্তদন্ত হয়ে দৌড়ে এসে লাইনে দাড়াতে গিয়ে হাপিয়ে পড়ে যান, তিনিই অভিনেতা শফিকুল ইসলাম ” দিনাজপুর থেকে যিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে এসে আজকের মিডিয়াতে একজন নিয়মিত অভিনেতা হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। পড়াশোনার পাশাপাশি
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এস এম হলে থাকালিন নাট্যচর্চা করতেন।
থিয়েটারে যুক্ত আছেন দীর্ঘদিন ধরে, প্রথমে আরন্যক নাট্য দল, এরপর নাট্যকেন্দ্র। থিয়েটার ও অভিনয়ের নেশায় কখনো কোন চাকরি বেশিদিন করা হয়নি । তারপর দীর্ঘ পথপরিক্রমায় এখন নাটক ও সিনেমার পুরোপুরি একজন অভিনেতা তিনি।।
পুরো ধ্যান জ্ঞান শুধু অভিনয়ে, তাইতো এখনো মাঝে-মধ্যেই শিল্পকলা ও মগবাজার মিডিয়া গলিতে আড্ডা দেয়া হয় তার।
আড্ডারচ্ছলে অভিনেতা শফিকুল ইসলাম এর সাথে, তার বিভিন্ন বিষয় নিয়েই কথা হচ্ছিল…
১/কোন ধরনের গল্পের সাথে কাজ করতে চান?
তিনি আসলে ক্যারেক্টর আটিস্ট, যে কোন গল্পেই আমি কাজ করেন। তার চেহারার সাথে যায় একটু বোকা বোকা, ইনোসেন্ট এগুলোতে তাকে ভালোমানায়, আর তার নিজের ভালো লাগে কমিডি ও ভিলেনের ক্যারেক্টর করতে।
২/একক নাটকের কেমন ব্যাস্ত সময় পার করছেন?
★ এখন বেশ ব্যস্ততম সময় যাচ্ছে তার
এর মধ্যে দোলন খানের- সরল মনের ভালোবাসা, আলী সিদ্দিকের মিস্টি বিয়াইন ও শুধু তোমার জন্য,
অনন্য ইমনের -দূষিত এ শহরে, মইন খানের- বড় লোকের মেয়ে,কাজী বাহাদুর হিমুর – ভাইয়া সাবলেট হবে, জহির খানের- ফাঁপড় বাজি, নয়নের- ফিটিংবাজ, আতিকুর রহমান বেলালের- নব জাগরণ, শুভাশীষ দত্ত তন্ময়ের- গল্পের বিয়ে, কাজী আবু সাদ চৌধুরী’র- শেষ খেলা, তন্ময় মুক্তাদিরের- আতা পাগলা, আনোয়ার জায়িদের- তালা-চাবি, রাশেদুল ইসলামের- বউ লাগেনা শালি আছে, মোক্তাদির ইবনে ছালামের-বর্ণহীন প্রেম এবং মায়া, আলিফ আল-স্বজলের – ১০১ কচি চত্বরে অভিনয় করেছেন।
এছাড়াও বেশ কয়েকটি ধারাবাহিক নাটকে অভিনয় করছেন।
উল্লেখযোগ্য হলো,কায়সার আহমেদ ভাইয়ের বকুলপুর সিজন টু যেটা দীপ্ত টিভিতে যাচ্ছে, বিটিভি’র ৩টা ধারাবাহিক আফরোজা সুলতানা’র – জোড়া শালিক,
সঞ্জয়কান্ত’র- দক্ষিণের সমীকরণ, এস এম সালাউদ্দিনের – বনবাসে রুপবান, এটিএন বাংলা’র আশরাফ-উল- ইসলাম পিপিএম স্যারের – ক্রাইম পেট্রোল, রাশেদুল ইসলামের- ব্যাচেলর শান্তি নিবাস ইত্যাদি।
সিনেমাতেও রয়েছে তার পদচারণা।সিনেমায় অভিনয় নিয়ে অভিনেতা শফিকুল বলেন,
সিনেমা তো বড় পর্দা, যেটা বার বার দেখানো হয়, যুগ যুগ থেকে যায়, সবারই স্বপ্ন থাকে সিনেমাতে কাজ করার, আমার তো সিনেমাতে কাজ করতে বেশ ভালই লাগে, আমি সর্বশেষ শরাফ আহমেদ জীবন ভাইয়ের – চক্কর ৩০২ সিনেমার কাজ শেষ করলাম। জাফর আল মামুন ভাই ও রাশেদা আক্তার লাজুক আপুর অনুদানের সিনেমাতে কাজ করবো সেরকম কথা চলছে।
নাটক, টেলিফিল্ম বা সিনেমা যাই হোক চরিত্রের প্রয়োজনে নিজের ডেডিকেশন রাখবেন বলে তিনি জানান।
বিজ্ঞাপন নিয়মিত হবার ইচ্ছা শফিকুলের।
আগেও তিনি গ্রামীন ফোন ইন্টারনেট, রয়েল টিভি, মেগা ফ্রিজ, আরএফএল সহ বেশ কয়েকটা বিজ্ঞাপনে কাজ করেছেন তবে লাস্ট তাসনিয়া ফারিন ও তাহসানের সাথে করা এপেক্স জুতা’র বিজ্ঞাপন করছেন। পরিচালকরা তাকে নিয়ে গল্প ভাবলে তিনি অভিনয়ে কাউকে
নিরাশ করবেন না বলে জানান।